ঢাকার নবাবগঞ্জে অবৈধ সম্পর্কের জেরে রাকিব (১৯) নামের এক অটোরিক্সা চালককে খুন করা হয়েছে। খুনের ঘটনায় জড়িত ২ আসামীকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
তাদের বয়ানে শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাতভর আগলা পূর্বপাড়ার একটি নির্জন চকে সন্ধান চালিয়ে রাকিবের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে হত্যাকান্ডের বিশদ জানিয়ে নবাবগঞ্জ থানায় সংবাদ সম্মেলন করেন দোহার সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল আলম।
https://www.youtube.com/watch?v=88QEumNx3SA
নিহত রাকিব উপজেলার গালিমপুর ইউনিয়নের মোক্তার হোসেনের ছেলে। গ্রেফতারকৃতরা হলো- আগলা ইউনিয়নের আনিছের ছেলে ইয়াসিন ও কৈলাইল ইউনিয়নের মেলেং গ্রামের শহিদের ছেলে আশরাফুল।
সহকারি পুলিশ সুপার জানান, ১৫ জানুয়ারি সকালে অটোরিক্সা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় রাকিব। তখন তার সাথে ছিল ইয়াসিন নামের এক যুবক। বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর থেকে রাকিবের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। রাকিবের সন্ধান না পেয়ে পরদিন রাকিবের বড় ভাই রবিউল হোসেন নবাবগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
ঘটনাটিকে গুরুত্ব দিয়ে অনুসন্ধানে নামে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ। রাকিবের সাথে থাকা ইয়াসিন নামের সেই যুবককে আটক করলে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এরপর শুক্রবার রাতভর সন্ধান চালিয়ে আগলা পূর্বপাড়ার একটি নির্জন চক থেকে রাকিবের লাশ উদ্ধার করে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, জিজ্ঞাসাবাদে ইয়াসিন পুলিশকে জানায় তার স্ত্রী ফাতেমা আক্তারের সাথে অবৈধ সম্পর্কে ছিল রাকিবের। বিষয়টি নিয়ে ইয়াসিনের সাথে রাকিবের একাধিকবার বাকবিতন্ডা হয়। এ ঘটনার জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে রাকিবকে বাড়ি থেকে বের করে নেয় ইয়াসিন।
পরে ইয়াসিন ও তার মামাতো ভাই আব্দুর রহমানের সহযোগিতায় রাকিবকে নৃশংসভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ঘাড়ে ও মাথায় কুপিয়ে হত্যা করে তারা। হত্যার পর লাশ গুমের উদ্দেশ্যে আগলা পূর্বপাড়া চকের নির্জন একটি মাছের খামারের পাশে কচুরিপানা দিয়ে ঢেকে রাখে।
নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুমিনুল ইসলাম জানান, ঘটনার সাথে আরও কেউ সম্পৃক্ত আছে কিনা তা জানতে রিমান্ড আবেদন করে শনিবার আসামীদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।